জিপিও বক্স নং-১৫
কলাতলী, কক্সবাজার-৪৭০০
প্রায় চার দশক সময় ধরে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সৈকত খনিজ বালি আহরণ কেন্দ্র উপকূলীয় এলাকায় মূল্যবান খনিজ অনুসন্ধান এবং আহরণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এ যাবৎ সৈকত খনিজ বালি আহরণ কেন্দ্র ১৭টি ভারী খনিজ স্তুপের আবিষ্কারসহ এর বিস্তৃতি,মজুদ এবং গুনগত মান নির্ণয় করেছে। সেই সাথে সৈকত খনিজ বালি আহরণ কেন্দ্রে একটি পরীক্ষামূলক প্লান্ট এবং একটি খনিজ পৃথকীকরণ গবেষণাগার স্থাপনের মাধ্যমে স্বল্প পরিসরে কাঁচাবালি প্রক্রিয়াজাতকরণ করে চলেছে। উক্ত খনিজগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে সম্ভাবনাময় প্রধান প্রধান খনিজসমূহ হলো ইলমেনাইট, ম্যাগনেটাইট, গারনেট, জিরকন এবং রুটাইল। সম্প্রতি উপকূলীয় এলাকার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য এলাকার নদীবাহিত বালিতে উপস্থিত অর্থনৈতিক খনিজ, বিশেষ করে সিলিকা সমৃদ্ধ বালি নিয়েও গবেষণা শুরু করা হয়েছে। এছাড়া সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় পরিবেশগত তেজস্ক্রীয়তা পরীক্ষণ ও পরিবীক্ষণও অত্র কেন্দ্রের বর্তমান কার্যক্রমের অন্তর্ভূক্ত।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
সমুদ্র উপকূলীয় সৈকত, দ্বীপ এবং নদীবিধৌত চর এলাকায় ভারী খনিজ অনুসন্ধান ও সামুদ্রিক পরিবেশগত তেজস্ক্রীয়তা পরীক্ষণ ও পরিবীক্ষণ। এছাড়া আবিস্কৃত ভারি খনিজ স্তুপের সর্বমোট এবং আহরণযোগ্য মজুদ নির্ণয়, খননের ফলে সৃষ্ট পরিবেশগত প্রভাব নির্ণয়সহ সৈকত ও সমুদ্রের বালি ও পানিতে তেজস্ক্রীয় তথা ট্রেস উপাদানের উপস্থিতি ও প্রভাব নির্ণয়।
চলমান গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম
সেবা প্রদান
সেবার নাম |
সেবাদানের ধরণ |
সেবাদান ফি |
কাঁচাবালির (Raw Sand) মধ্যে ভারী খনিজ চিহ্নিতকরণ |
খনিজের আপেক্ষিক গুরুত্ব (Specific Gravity) ও আলোকতাত্ত্বিক (Optical) বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে ভারী খনিজ সমৃদ্ধ কাঁচাবালির মধ্যে ম্যাগনেটাইট, ইলমেনাইট, গারনেট, জিরকন, রুটাইল, কায়ানাইট, লিউওকক্সিন ও মোনাজাইট সনাক্ত ও পরিমান নিরূপণ। |
প্রতি ৫০ (পঞ্চাশ) গ্রাম টাকা ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) মাত্র |
কাঁচাবালি (Raw Sand) থেকে ভারী খনিজ পৃথকীকরণ |
খনিজের ভৌত গুণাগুণ, বিশেষত আপেক্ষিক ঘনত্ব, চৌম্বকীয় এবং বৈদ্যুতিক ব্যবহার করে কাঁচাবালি থেকে ভারী খনিজ (ম্যাগনেটাইট, ইলমেনাইট, গারনেট, রুটাইল, জিরকন) পৃথক করা। |
প্রতি কিলোগ্রাম টাকা ৬,০০০/- (ছয় হাজার) মাত্র |
পাইলট প্ল্যান্টে পৃথকীকৃত ৫টি ভারী খনিজ বিক্রয় |
প্ল্যান্টে পৃথকীকৃত ৫টি খনিজ-ম্যাগনেটাইট, ইলমেনাইট, গারনেট, রুটাইল, জিরকন প্রতি টন (এক হাজার কেজি) হিসেবে বিক্রয় |
টাকা-প্রতি টন জিরকন- টাকা ৬৫,০০০/- রুটাইল- টাকা ৩৫,০০০/- গারনেট- টাকা ২০,০০০/- ইলমেনাইট- টাকা ১০,০০০/- ম্যাগনেটাইট- টাকা ১০,০০০/- |
অর্জন
১। এ যাবৎ ১৭টি ভারী খনিজ স্তুপের আবিষ্কারসহ এর বিস্তৃতি, মজুদ এবং গুনগত মান নির্ণয়।
২। আবিষ্কৃত মজুদের কাঁচাবালি হতে ভারী ও তেজস্ক্রিয় খনিজ পৃথকীকরণের লক্ষ্যে পাইলট প্লান্টসহ অন্যান্য খনিজ পৃথকীকরণ গবেষণাগার স্থাপন।
৩। কাঁচাবালি হতে অর্থনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন ইলমেনাইট, ম্যাগনেটাইট, গারনেট, জিরকন ও রুটাইল খনিজ উৎপাদন এবং বিক্রয়।
৪। বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রেরিত কাঁচাবালি নমুনার মধ্যে ভারী খনিজ চিহ্নিতকরণ এবং খনিজতাত্ত্বিক ও ভূ-রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য নিরুপণ সার্ভিস প্রদান।
৫। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কায©ক্রমের অংশ হিসাবে ভারী ও তেজস্ক্রিয় খনিজ সমৃদ্ধ প্লেসার বালি অনুসন্ধান ও প্রক্রিয়াজাতকরণ সম্পর্কিত প্রশিক্ষন (Industrial Training) প্রদান।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবদান
অর্জন প্রধান স্থাপনা ও গবেষণাগার সুবিধাদি*
Laboratory |
Main Instruments |
Main Functions |
Pilot Plant |
Gravity Separators
Magnetic Separators
Electric Separators
Others
|
|
Quality Control Laboratory |
|
|
Exploration Laboratory |
|
|
Microscope Laboratory |
|
|
*কিছু কিছূ যন্ত্র কার্যকর নেই। |
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
১। আবিস্কৃত ১৭ টি ভারী খনিজ স্তুপ হতে খনিজ আহরণ বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক কিনা তা নিরুপনের লক্ষ্যে Feasibility Study বাস্তবায়ন করা।
২। খনিজবালি অনুসন্ধান ও উত্তোলনসহ সার্বিক কর্মকান্ডে সরকারী অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ কাজ পরিচালনা করা।
৩। সামুদ্রিক নমুনায় radionuclides ও trace elements-এর মাত্রা ও বৈশিষ্ট নিরুপন এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশের উপর এর প্রভাব নির্ণয়।
৪। কক্সবাজার ও আশেপাশের এলাকার ভূ-গর্ভস্থ পানিতে ও পরিবেশে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা ও প্রভাব নিরুপন।
৫। উপোরোক্ত গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকান্ড সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, কক্সবাজার প্রতিষ্ঠা করা।
যোগাযোগ/জনবল
পরিচালক
সৈকত খনিজ বালি আহরণ কেন্দ্র
কলাতলী, জিপিও বক্স-১৫, কক্সবাজার-৪৭০০।
ফোনঃ ৮৮০ ৩৪১ ৬৩৩২০, ফ্যাক্সঃ ৮৮০ ৩৪১ ৬৩৩৪৭,
ই-মেইলঃ bsmecbaec@gmail.com