Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৫ মে ২০২৫

সৈকত খনিজ বালি আহরণ কেন্দ্র (বিএসএমইসি), কলাতলী, কক্সবাজার

জিপিও বক্স নং-১৫
কলাতলী, কক্সবাজার-৪৭০০

 

আমাদের সম্পর্কে 

প্রায় চার দশক সময় ধরে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সৈকত খনিজ বালি আহরণ কেন্দ্র উপকূলীয় এলাকায় মূল্যবান খনিজ অনুসন্ধান এবং আহরণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এ যাবৎ সৈকত খনিজ বালি আহরণ কেন্দ্র ১৭টি ভারী খনিজ স্তুপের আবিষ্কারসহ এর বিস্তৃতি,মজুদ এবং গুনগত মান নির্ণয় করেছে। সেই সাথে সৈকত খনিজ বালি আহরণ কেন্দ্রে একটি পরীক্ষামূলক প্লান্ট এবং একটি খনিজ পৃথকীকরণ গবেষণাগার স্থাপনের মাধ্যমে স্বল্প পরিসরে কাঁচাবালি প্রক্রিয়াজাতকরণ করে চলেছে। উক্ত খনিজগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে সম্ভাবনাময় প্রধান প্রধান খনিজসমূহ হলো ইলমেনাইট, ম্যাগনেটাইট, গারনেট, জিরকন এবং রুটাইল। সম্প্রতি উপকূলীয় এলাকার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য এলাকার নদীবাহিত বালিতে উপস্থিত অর্থনৈতিক খনিজ, বিশেষ করে সিলিকা সমৃদ্ধ বালি নিয়েও গবেষণা শুরু করা হয়েছে। এছাড়া সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় পরিবেশগত তেজস্ক্রীয়তা পরীক্ষণ ও পরিবীক্ষণও অত্র কেন্দ্রের বর্তমান কার্যক্রমের অন্তর্ভূক্ত।

 

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য 

সমুদ্র উপকূলীয় সৈকত, দ্বীপ এবং নদীবিধৌত চর এলাকায় ভারী খনিজ অনুসন্ধান ও সামুদ্রিক পরিবেশগত তেজস্ক্রীয়তা পরীক্ষণ ও পরিবীক্ষণ। এছাড়া আবিস্কৃত ভারি খনিজ স্তুপের সর্বমোট এবং আহরণযোগ্য মজুদ নির্ণয়, খননের ফলে সৃষ্ট পরিবেশগত প্রভাব নির্ণয়সহ সৈকত ও সমুদ্রের বালি ও পানিতে তেজস্ক্রীয় তথা ট্রেস উপাদানের উপস্থিতি ও প্রভাব নির্ণয়।

 

চলমান গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম 

  • সমুদ্র উপকূলীয় সৈকত ও নদীবিধৌত দ্বীপ এলাকায় ভারী খনিজ অনুসন্ধান এবং আবিষ্কৃত খনিজ ডিপোজিটের বর্তমান অবস্থা ও অথনৈতিক সম্ভাব্যতা নিরুপণের লক্ষ্যে নিয়মিত মাঠ জরিপ।
  • কাঁচাবালি হতে অর্থনৈতিক খনিজ (ইলমেনাইট,ম্যাগনেটাইট, গারনেট, জিরকন, রুটাইল, মোনাজাইট, সিলিকা, ইত্যাদি) পৃথকীকরণ।
  • কাঁচাবালির মধ্যে ভারী খনিজ চিহ্নিতকরণ এবং খনিজতাত্ত্বিক ও ভূ-রাসায়নিক বৈশিষ্ট নিরুপণ।
  • পাইলট প্ল্যান্টের খনিজ মিশ্রণ হতে তেজস্ক্রীয় খনিজ মোনাজাইট ((Ce,Th,La,Y)PO4) পৃথকীকরণ ও সমৃদ্ধকরণ।
  • ভারী ও তেজস্ক্রিয় খনিজ সমৃদ্ধ প্লেসার বালি অনুসন্ধান ও প্রক্রিয়াজাতকরণ সম্পর্কিত শিল্প প্রশিক্ষন (Industrial Training) ও শিক্ষা ও পেশাগত প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় সহায়তা প্রদান।

 

সেবা প্রদান 

সেবার নাম

সেবাদানের ধরণ

সেবাদান ফি

কাঁচাবালির (Raw Sand) মধ্যে ভারী খনিজ চিহ্নিতকরণ

খনিজের আপেক্ষিক গুরুত্ব (Specific Gravity) ও আলোকতাত্ত্বিক (Optical)  বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে ভারী খনিজ সমৃদ্ধ কাঁচাবালির মধ্যে ম্যাগনেটাইট, ইলমেনাইট, গারনেট, জিরকন, রুটাইল, কায়ানাইট, লিউওকক্সিন ও মোনাজাইট সনাক্ত ও পরিমান নিরূপণ।

প্রতি ৫০ (পঞ্চাশ) গ্রাম

টাকা ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) মাত্র

কাঁচাবালি (Raw Sand) থেকে ভারী খনিজ পৃথকীকরণ

খনিজের ভৌত গুণাগুণ, বিশেষত আপেক্ষিক ঘনত্ব, চৌম্বকীয় এবং বৈদ্যুতিক ব্যবহার করে কাঁচাবালি থেকে ভারী খনিজ (ম্যাগনেটাইট, ইলমেনাইট, গারনেট, রুটাইল, জিরকন) পৃথক করা।

প্রতি কিলোগ্রাম

টাকা ৬,০০০/- (ছয় হাজার) মাত্র

পাইলট প্ল্যান্টে পৃথকীকৃত ৫টি ভারী খনিজ বিক্রয়

প্ল্যান্টে পৃথকীকৃত ৫টি খনিজ-ম্যাগনেটাইট, ইলমেনাইট, গারনেট, রুটাইল, জিরকন প্রতি টন (এক হাজার কেজি) হিসেবে বিক্রয়

টাকা-প্রতি টন

জিরকন- টাকা ৬৫,০০০/-

রুটাইল- টাকা ৩৫,০০০/-

গারনেট- টাকা ২০,০০০/-

ইলমেনাইট- টাকা ১০,০০০/-

ম্যাগনেটাইট- টাকা ১০,০০০/-

 

 

অর্জন 

১। এ যাবৎ ১৭টি ভারী খনিজ স্তুপের আবিষ্কারসহ এর বিস্তৃতি, মজুদ এবং গুনগত মান নির্ণয়।

২। আবিষ্কৃত মজুদের কাঁচাবালি হতে ভারী ও তেজস্ক্রিয় খনিজ পৃথকীকরণের লক্ষ্যে পাইলট প্লান্টসহ অন্যান্য খনিজ পৃথকীকরণ গবেষণাগার স্থাপন।

৩। কাঁচাবালি হতে অর্থনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন ইলমেনাইট, ম্যাগনেটাইট, গারনেট, জিরকন ও রুটাইল খনিজ উৎপাদন এবং বিক্রয়।

৪। বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রেরিত কাঁচাবালি নমুনার মধ্যে ভারী খনিজ চিহ্নিতকরণ এবং খনিজতাত্ত্বিক ও ভূ-রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য নিরুপণ সার্ভিস প্রদান।

৫। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কায©ক্রমের অংশ হিসাবে ভারী ও তেজস্ক্রিয় খনিজ সমৃদ্ধ প্লেসার বালি অনুসন্ধান ও প্রক্রিয়াজাতকরণ সম্পর্কিত প্রশিক্ষন (Industrial Training) প্রদান।

 

জাতীয় ও  আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবদান 

  • বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলে এযাবৎ ১৭টি ভারী খনিজ স্তুপের আবিষ্কারসহ এর বিস্তৃতি, মজুদ এবং গুনগত মান নির্ণয় করা হয়েছে যার প্রাক্কলিত আহরণযোগ্য পরিমান প্রায় ১.৭৬ মিলিয়ন টন যা দেশের খনিজ সম্পদকে সমৃদ্ধ করেছে।
  • উপকূলীয় খনিজ বালি সম্পর্কিত নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করেছে যা এ সম্পর্কিত শিক্ষা ও গবেষণায় গুরুত্ত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
  • বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থি ও গবেষকদের প্রশিক্ষন ও তথ্য সহায়তা প্রদান।
  • খনিজ বালি উত্তোলনে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে কারিগরি সহায়তা প্রদানে সক্ষমতা অর্জন।

 

অর্জন প্রধান স্থাপনা ও গবেষণাগার সুবিধাদি* 

Laboratory

Main Instruments

Main Functions

Pilot Plant

Gravity Separators

  • Spiral
  • Dewatering Cone
  • Hydrocyclone
  • Screw Classifier
  • Wilfley Table
  • Air Table

Magnetic Separators

  • Low Intensity Magnetic Separator (LIMS)
  • Wet High Intensity Magnetic Separator (WHIMS)
  • Cross Belt Magnetic Separator (IRMS)

Electric Separators

  • High Tension Roll Separator (HTRS)
  • Electro-Static Plate Separator (ESPS)

Others

  • Attritioner
  • Grizzle Feed Hooper
  • Trommel Screen
  • Drum Dryer
  • Vibroscreen
  • Loader
  • Separation of ilmenite, magnetite, garnet, zircon, rutile and silica.

Quality Control Laboratory

  • Laboratory Shaking Table
  • Induced Roll Magnetic Separator (IRMS)
  • Electrostatic Plate Separator (ESPS)
  • High Tension Roll Separator (HTRS)
  • Pressure Filter
  • Air Compressor
  • Quality checking of individual heavy minerals separated from pilot plant
  • Physical quality up-gradation of individual minerals from Pilot Plant
  • Suggestion to the Pilot Plant for optimum separation

Exploration Laboratory

  • Hand Augers
  • Sieve Shaker
  • Global Positioning System (GPS)
  • Scintillation Survey Meter
  • Ball Mill
  • Bromoform Separation Unit
  • Bottom sediment sampler
  • Heavy liquid separation
  • Grain size analysis
  • Mineral pulverization

Microscope Laboratory

  • Polarizing Microscope with photomicrographic unit
  • Metallurgical Microscope with photomicrographic unit
  • Identification of heavy minerals
  • Determination of heavy minerals percentage from bulk sand
  • Physical grading of individual minerals

*কিছু কিছূ যন্ত্র কার্যকর নেই।

 

 

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা 

১। আবিস্কৃত ১৭ টি ভারী খনিজ স্তুপ হতে খনিজ আহরণ বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক কিনা তা নিরুপনের লক্ষ্যে Feasibility Study বাস্তবায়ন করা।

২। খনিজবালি অনুসন্ধান ও উত্তোলনসহ সার্বিক কর্মকান্ডে সরকারী অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ কাজ পরিচালনা করা।

৩। সামুদ্রিক নমুনায় radionuclides ও trace elements-এর মাত্রা ও বৈশিষ্ট নিরুপন এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশের উপর এর প্রভাব নির্ণয়।

৪। কক্সবাজার ও আশেপাশের এলাকার ভূ-গর্ভস্থ পানিতে ও পরিবেশে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা ও প্রভাব নিরুপন।

৫। উপোরোক্ত গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকান্ড সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, কক্সবাজার প্রতিষ্ঠা করা।

 

যোগাযোগ/জনবল

পরিচালক 
সৈকত খনিজ বালি আহরণ কেন্দ্র 
কলাতলী, জিপিও বক্স-১৫, কক্সবাজার-৪৭০০।
ফোনঃ ৮৮০ ৩৪১ ৬৩৩২০, ফ্যাক্সঃ ৮৮০ ৩৪১ ৬৩৩৪৭, 
ই-মেইলঃ bsmecbaec@gmail.com

এখানে ক্লিক করুন